পিরোজপুরের রাজ-লক্ষ্মী মহাবিদ্যালয়ে এমপিও ‘জালিয়াতি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২০:০২
-67053b786db3a.png)
পিরোজপুর জেলার মানচিত্র। ফাইল ছবি
পিরোজপুরের নাজিরপুরের রাজ-লক্ষ্মী মহাবিদ্যালয়ে এমপিওভুক্তিতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসাইন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।
গত ৬ অক্টোবর শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। অভিযোগটি গ্রহণ নম্বর: ৪৯৪১।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাজ-লক্ষ্মী মহাবিদ্যালয়টি বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বোর্ড গঠন করে শিক্ষক-কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি ব্যানবেইজ তৈরি হয়। পরে কিছু শিক্ষক অন্য জায়গায় যোগ দিলে তাদের পদ শূন্য থাকে।
২০২২ সালে মহাবিদ্যালয়টি এমপিও হওয়ার পর শূন্য পদে পেছনের তারিখে নিয়োগ দিয়ে চারজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়। ওই মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক অপূর্ব বালা, হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক জয়দেব, বাংলার সুব্রত হালদার, কৃষি বিজ্ঞানের অভিজিত রায় এবং সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের জায়গায় অন্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বোর্ড গঠন ছাড়াই এ সব শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকায় বাংলা ও পৌরনীতিসহ ছয়টি বিষয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি আটকে গেছে। এ জন্য তারা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী শিক্ষকের জায়গায় পেছনের তারিখ উল্লেখ করে এ সব শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা বিধিসম্মত হয়নি। এই নিয়োগে প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এভাবে নিয়োগ চক্রের সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি সজল রায় ও কলেজটির অধ্যক্ষ মিলন কান্তি মণ্ডল হাতিয়ে নিয়েছেন ৭৫ লাখ টাকা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে উপার্জিত টাকায় তিন তলা বাড়ি করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ মিলন কান্তি মণ্ডল। এ ছাড়া শিক্ষক প্রতিনিধি সজল রায় বরিশালে কিনেছেন চার কাঠা জায়গা।
অভিযোগ রয়েছে বরিশাল অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক বিপুল রায়ের যোগসাজশে এ সব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। বিপুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিক্ষক প্রতিনিধি সজল রায়।
এ বিষয়ে সজল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সত্যতা নেই। এগুলো বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।
কলেজের অধ্যক্ষ মিলন কান্তি মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে পিরোজপুরে জেলা শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ আসে। তবে কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না। আমি বিষয়টির খোঁজ নেব।