পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে পৃথক তিন জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
পৃথক তিনটি স্থান হলো- পৌরসভার সাহাপাড়া এলাকার মেসার্স সাহা হাসকিং মিল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইএসডিওর শাখা অফিস।
মেসার্স সাহা হাসকিং মিলের সত্ত্বাধিকারী নন্দন কুমার সাহা ও তার ভাই সুব্রত কুমার সাহা জানান, প্রতিদিন রাতে আমিনুর ও লাবু নামে দুইজন রাতে পাহারা দেন চাতাল (চালকল)। সকাল ৬টায় অন্যান্য কর্মচারীরা এলে তারা চলে যান। আজ সকালে সুব্রত কুমার সাহা চাতালে প্রবেশের মূল দরজায় এসে বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর লাবু এসে দরজা খুলে দেন। এ সময় তার শরীরে রক্তের দাগ দেখা যায়। কিছু দূর এগিয়ে অফিসের দিকে গেলে সেখানে অফিসের দরজা খোলা ও আমিনুরকেও রক্তাক্ত অবস্থায় পান তিনি। তাদের দুইজনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের দাগ দেখা যায়। পরে দ্রুত থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর অফিস কক্ষে গিয়ে আলমারি ও সিন্ধুক ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। যদিও সেখানে বড় অংকের টাকা ছিল না বলে নিশ্চিত করেন তারা।
দুর্বৃত্তরা চাতালে থাকা সবকটি সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পশ্চিম-দক্ষিণ দিকের দেওয়াল টপকে তারা ভেতরে প্রবেশ করে এবং ওই পথেই বেড়িয়ে যায়।
এদিকে একই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের প্রশাসনিক ইউনিটের বারান্দার পশ্চিম দিকের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। সেখানে হিসাবরক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করে দুইটি আলমারি ও একটি কেবিনেট থেকে ২৫ হাজার টাকা লুট করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরী অনুপস্থিত থাকায় দুর্বৃত্তরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একই রাতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইএসডিওর শাখা অফিসের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আলমারির তালা ভাঙে দুর্বৃত্তরা। তবে সেখানে কোন টাকা ছিল না বলে নিশ্চিত করেন শাখা ব্যবস্থাপক কমলেশ রায়।
খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, মেসার্স সাহা হাসকিং মিলের সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর হেফাজতে নিয়েছি আমরা। দোষীদের শনাক্তে আমরা কাজ করছি।