গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার শফিকুল ইসলাম (২৫) প্রথমে পারভীন খাতুন (২০) নামের নারীকে বিয়ে করে তালাক দেন। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে প্রথম স্ত্রী পারভীন ও তার স্বজনদের হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। এসময় বর শফিকুলসহ তার বরযাত্রীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফকিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম পাসার মেয়ে পারভীন খাতুনের সঙ্গে রসুলপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। এতে দেনমোহর করা হয় ৪ লাখ টাকা। তাদের দাম্পত্য জীবনের প্রায় আড়াই বছর পার হওয়ার পর প্রায় তিন মাস আগে পারভীনকে তালাক দেন। তবে তালাক দেওয়া হলেও ওই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করেননি শফিকুল ইসলাম।

এরই একপর্যায়ে জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে ঠিকঠাক হয় শফিকুলের। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শফিকুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফকিরপাড়া নামকস্থানে পৌঁছলে পারভীন ও তার লোকজন লাঠি নিয়ে হামলা করেন। এসময় শফিকুল ও তার যাত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারপিট করেন। এতে বর পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে পারভীন খাতুন বলেন, শফিকুল ইসলাম আমাকে বিয়ে করে আড়াই বছর সংসার করার পর তালাক দিয়েছে। এই তালাকের প্রায় তিন মাস হলেও আমার দেনমোহরের টাকা বুঝিয়ে দেয়নি। এই টাকা না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে শফিকুলকে পথরোধ করা হয়।

সাদুল্লাপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বর শফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।