মাতারবাড়ি বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছে সরকার: সাখাওয়াত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৪২
-6716684eb9150.jpg)
মাতারবাড়ি বন্দর। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সরকার নতুন করে ভাবছে। কারণ বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চল ভৌগোলিক এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতীতে এখানে নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নৌ-পরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা ইস্যু খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেমন দরকার তেমনি বাইরের নিরাপত্তা দরকার বলে মনে হচ্ছে। কারণ বিশাল সাগরে এই বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি। সাগরে অনেকের যাতায়াত তাই বন্দরের ভেতরে-বাইরে নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে।’
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ‘গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম ফেইজের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরকে বাণিজ্যিকভাবে চালু করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন জাইকা অর্থ দিচ্ছে। তারা গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে খুবই আন্তরিক। তারা যথাযথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে সাতটি লাইট হাউজ নির্মাণ কাজ চলছে। এগুলোও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে।’
নাফ নদী ড্রেজিংয়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আরাকান অঞ্চলে এখনও যুদ্ধ চলমান। এ কারণে নাফ নদী এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরাকানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।’
আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল করতে হবে।’
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন এই উপদেষ্টা। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং কোল পাওয়ার কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি মহেশখালীতে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্প পরিদর্শন করেন।