ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেই বিরোধের জেরে ভাইকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী হারুন। পরে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন হারুন। 

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হারুন সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগি গ্রামের হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার মাঝি ছিলেন।

পুলিশ জানায়, হারুনের সঙ্গে তার ভাই হিরনের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর রাতে খাওয়া শেষে হারুন ও তার পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ৩টার দিকে হারুন পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়ির সাজসজ্জা দেখতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী জেসমিনকে নিয়ে ঘরের বাইরে বের হন। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হারুন তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করতে হারুন নিজেই তার হাত ও ঘাড় কেটে জখম করেন। পরে দা পুকুরের পানিতে ধুয়ে বসতঘরে রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। এতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে এলে সবাইকে জানান ৭-৮ জনের ডাকাতদল তাদের কুপিয়েছে।  

এসময় ঘটনার সঙ্গে তার ছোট ভাই হিরন জড়িত ছিল বলে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেন। পুলিশ সে সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিরনকে আটক করে। পরে তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সাথে হারুনের সম্পৃক্ততা পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, আসামি হারুন তার ভাই হিরনকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। এসময় ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করতে হারুন নিজের শরীরেও দা দিয়ে আঘাত করেন।