ঘূর্ণিঝড় ডানা: সমুদ্র সৈকতে বেড়েছে ঢেউয়ের উচ্চতা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৮

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবি: প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ডানায় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়৷ বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ডানা ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এটি উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বুধবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় পর্যটক জমির উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি দেখার খুব ইচ্ছে। তাই অফিসে ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে চলে এসেছি। খুব ভাল লাগছে পরিবেশ। রোদ নেই, বৃষ্টি নেই। চমৎকার আবহাওয়া।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দারা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলে মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের উপকূলীয় এলাকায় অনেক ক্ষতি হয়। বাতাস ও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় এলাকা। উপকূলে বেড়িবাঁধ ভাঙার কারণে অরক্ষিত অবস্থায় আছে লাখো মানুষ।
জানা গেছে, কক্সবাজার উপকূলে ৫৯০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ আছে। তার মধ্যে প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অংশ ভাঙা অবস্থায় আছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, জেলার মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়ার কিছু অংশে বেড়িবাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় আছে। তবে ভাঙন এলাকায় আপাতত টিউব দেয়া হয়েছে। এই দুটি অঞ্চলে বেড়িবাঁধের জন্যে প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়া আছে।