ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বালিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তার অপসারণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কয়েকশ শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসা চত্বরে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় মাদ্রাসা সুপারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এক বছর সাত মাস আগে মাদ্রাসায় যোগদান করেন সুপার আতিয়ার রহমান। এরপর মাদ্রাসায় দুইজন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ড তছরুপ, মাদ্রাসার দোকানভাড়ার টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত তিনি। তৎকালীন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের সঙ্গে আঁতাত করে এসব অনিয়ম করেছেন তিনি। মাদ্রাসার প্রায় ৯ লাখ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এখন হিসাব দিতে তিনি টালবাহানা করছেন। প্রায় ১ মাস ধরে তারা হিসাব চাচ্ছেন সুপারের কাছে। কিন্তু তিনি এখন বিএনপির স্থানীয় এক নেতার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হিসাব দিতে চাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে রয়েছেন। তিনি হিসাব না দিতে পারলে পদত্যাগ করে চলে না যাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার সুপার আতিয়ার রহমান অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিগত সরকারের খুব খাস লোক ছিলেন। একক প্রভাব খাটিয়ে তিনি অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সব আয়-ব্যয়ের হিসাব চাই। যদি তিনি হিসাব দিতে না পারেন তাহলে তার পদত্যাগ দাবি করছি। 

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।

কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।