পিরোজপুরে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র তাণ্ডব। গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রাতে বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যায়।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকেই পিরোজপুরে প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এতে শেরেচ গাছ, চাম্বল গাছ, মেহেগুনি গাছ, সুপারি গাছ ও কলা গাছসহ বিভিন্ন গাছ ভেঙে ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়।

ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের এক নারী লায়লি বেগম বলেন, আমরা অসহায় পরিবার। আমার ঘরের পাশে অন্যের গাছ পড়ে রান্নাঘর ও বাথরুম ভেঙে গেছে। আরও দুটি গাছ আছে ঝুঁকিপূর্ণ। ওই গাছ যে কোনো সময় ভেঙে পড়লে ঘর একেবারে শেষ হয়ে যাবে। আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে রয়েছি।

উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের কলা ব্যবসায়ী মো. আবু তালেব বলেন, আমার কলা ক্ষেতের গাছগুলো ভেঙে গেছে এবং পানি উঠে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমার এই ছোট ব্যবসায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি নিরুপায়।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, দুর্যোগের সময় দুর্যোগ কবলিতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮০ হাজার ৫০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ প্রতিটি উপজেলায় একটি টিম করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৫টি মেডিকেল টিম।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক ও দুই হাজার ৪২০ জন সিপিপি সদস্যও প্রস্তুত আছেন। এছাড়াও দুর্যোগকবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, চাল ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ মজুত রয়েছে।