মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাবের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নামে তাকে হত্যা করা হয় বলে দাবি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর। 

আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে শেরপুর পৌর টাউন হল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তার ‘হত্যা’র বিচার দাবি করেন শেরপুরের জামায়াত নেতারা। সেইসঙ্গে তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার বায়তুল মোকাররম গেইটে লগি-বৈঠা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ছয়জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই নৃশংস ঘটনার বিচার ও খুনীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

শহর জামায়াতের আমীর মাওলানা নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান। 

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মু. রাশেদুল ইসলাম।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. নুরুজ্জামান বাদল, সাবেক সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুল বাতেন, জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মু. আশরাফুজ্জামান মাসুম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হাফেজ মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এবং তার সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যেন আগামী দিনে মাঠে নামতে না পারে সেজন্য আমাদের সকলকে মাঠে থাকতে হবে। এদেশে জামায়াত নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে আটকে রেখে নির্যাতনের বিচার, বিএনপি নেতা ইলিয়াস গুম, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার, সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যার বিচারসহ অনেক হত্যার বিচার করতে হবে।