পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য এ. কে. এম মঞ্জিরুল হকের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটে সদর ইউনিয়নের সোনাহার পূর্ব মুন্সিপাড়া এলাকায়।

হামলায় লিয়াকত আলী (৬৮) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ঘটনায় লিয়াকত আলী বাদী হয়ে মঞ্জিরুল হককে প্রধান আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা করেছে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ এরইমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন সোহাগ ইসলাম, মেসবাউর হক, শরিফুল হুদা ও নূর আমিন।

মামলার নথি ও স্থানীয়রা জানান, মঞ্জিরুল হক ও লিয়াকত আলীর মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। উভয়ের পরিবারের মধ্যে এখনো ১০টি মামলা চলমান রয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় লিয়াকত আলী নিজ বাড়ির প্রধান দরজার সামনে গাছের ডালপালা পড়ে থাকায় সেগুলো পরিষ্কার করছিলেন। এই সময় তার বাড়িতে সংস্কার কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রীরা। সে সময় হঠাৎ করেই মঞ্জিরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা এসে লিয়াকত আলীর ওপর হামলা চালায়।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লিয়াকত আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে বিষয়টি জানায় লিয়াকত। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট লিয়াকত আলীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে প্রধান দরজা, বাড়ির একটি ঘরের একাংশ ও সীমানা প্রাচীরের একাংশ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনায়ও দেবীগঞ্জ থানায় মঞ্জিরুল হককে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন লিয়াকত আলী।

দেবীগঞ্জ থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) সোয়েল রানা জানান, এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।