ছাত্রদল-শিবির পাল্টাপাল্টি হামলা-গুলি, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫১

গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এক ছাত্রদল নেতাকে শিবির গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম (২৭) আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক খোরশেদ আলম।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বুধবার সকালে কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিলেন। এ সময় কিছু যুবক তাকে আটক করেন। তখন পাশেই ছিলেন ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদকসেবীকে মারধরে উদ্যত হন। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মুঠোফোনে মাসুমকে জানান বিষয়টি বিকেলে বসে সমাধান করা হবে। তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেন। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যায় মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করেন। এরপর সে একটি ফার্মেসি দোকানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে যান। পরে ওই দোকান কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পুনরায় মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মাসুমের বাম পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যান।
যোগাযোগ করা হলে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অনেক আগে ছাত্রদল করতেন। গত ছয় মাস আগে জামায়াতে যোগদান করেন। এজন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে বিষয়টি জানা নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়াবা সেবনের প্রশ্নই আসে না। মামলা সাজানোর জন্য ইয়াবার কথা আসছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি।