পদ্মায় নিখোঁজ আরেক এএসআইয়ের মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪০

এএসআই মুকুল হোসেন। ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে নিখোঁজ আরেক এএসআই মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তখন কুমারখালীর ওসি ফোন করে জানান, লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে এএসআই মুকুল হোসেনের লাশ ভেসে উঠে।
এর আগে গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার দুর্বৃত্তদের হামলায় পদ্মা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নিখোঁজ হন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোর ৪টার দিকে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয়জন পুলিশ সদস্য, স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ও দুই মাঝি মিলে পদ্মার ওপারে চরসাদীপুর এলাকায় আসামি ধরতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকটি নৌকার জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালান। তখন প্রাণ বাঁচাতে দুই পুলিশ সদস্য নদীতে ঝাঁপ দেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ভোরে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এ সময় তারা জেলেদের মাছ লুট করার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেশ কয়েকটি নৌকার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালান।
বেড় কালোয়া এলাকার জেলে এজাহার শেখ বলেন, ‘রাতে পদ্মায় ইলিশ ধরছিলাম। সে সময় দুই ইউপি সদস্য ও ছয়জন পুলিশ এসে আমার কাছে থাকা মাছ নিয়ে চলে যান। মাছ নেওয়ার পরে পুলিশ আবার মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে চলে যায়।’
বেড় কালোয়া এলাকার জেলেদের নেতা ইয়ারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সাদাপোশাকে ছিল। ইউপি সদস্যরা জেলেদের মাছ, তেল ও টাকা লুটপাট করতে পুলিশ নিয়ে এসেছিলেন। ৩০ থেকে ৪০ জন জেলে ডাকাত ভেবে হামলা চালিয়েছিলেন।
আবার মৎস্য অফিস সূত্র জানিয়েছে, সোমবার রাতে পদ্মা নদীতে তাদের কোনো অভিযান ছিল না।