লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্তসহ ৩ নেতাকে বহিষ্কার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
দরপত্র জমাদানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্তসহ তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত তিন নেতা হলেন- লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মোমিনুল ইসলাম মমিন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ও পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মোমিনুল ইসলাম মমিন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়াকে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করার কথাও উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহসহ ৩টি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের নিদিষ্ট দরবক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দরপত্রবক্স ও হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। সেই পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাঁধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস। এ সময় তার বিরুদ্ধে দরপত্র গ্রহনকারী কর্তৃপক্ষকেও লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা এসে ধাওয়া দিয়ে সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে যুবদল নেতা জুলহাসকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ২৪ জন দরদাতা তাদের দরপত্র জমা দেন। এদিকে ওইদিন বিকালেই মুসলেকা নিয়ে জুলহাসকে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।
তবে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, দরপত্র দাখিল নিয়ে হট্টগোল করার চেষ্টা করলে জুলহাস নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে কেউ অভিযোগ না করায় বিকালেই তাকে মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।