জমি জবরদখল, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাদী মো. ইসমাইল হোসেন খাগড়াছড়ির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির মাইসছড়ি বাজারে বাদী ইসমাইল হোসেনের নামে একটি প্লট (জমি) রয়েছে। যা তাকে খাগড়াছড়ির বাজার ফান্ড কার্যালয় থেকে বন্দোবস্ত করে দেয়া হয়। তার এ প্লটটি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীরা জবরদখলের চেষ্টা করে। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে, গত ৪ আগস্ট রাত ১২টায় মো. ইসমাইল হোসেনের ১৯২ (ক) প্লটে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে তারা সেখানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

এরপর সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতেও হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।

মো. ইসমাইল হোসেন অভিযোগে বলেন, এসব ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী ও বাজার ফান্ড প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত কমলেন্দু ত্রিপুরা। তাদের সঙ্গে আছে আরও ২৭-২৮ জন সন্ত্রাসী।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, চিংলামং ও কমলেন্দু আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে চেয়ারম্যান ও এমপির প্রভাব খাটিয়ে মাইসছড়ি বাজারে আনসার ও ভিডিপি সমিতির নামে বরাদ্দ হওয়া একটি প্লট জবর-দখল করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও এসব লোকেরা এখনও দাপটের সঙ্গে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মহালছড়ি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা আমলে না নিয়ে ইসমাইল হোসেনকে ফিরিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি খাগড়াছড়ির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মহালছড়ি থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশনামতে মহালছড়ি থানা জিআর মামলা নং-০২/২০২৪ গ্রহণ করে। 

মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সব ধরনের আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। খুব শিগগিরই তারা ধরা পড়বে।