ঢাকার ধামরাইয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চারটি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি) ও লুটকরা ৩ হাজার ২৪০ টাকা জব্দ করা হয়। 

আটককৃত ডাকাতরা হলেন- শহিদুল ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন (২৫), শেখ ইমান আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (২৫), ফিরোজের ছেলে ফজলু (২৮)। তারা সবাই ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা।

আজ শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম, অপস্ ও ট্রাফিক (উত্তর) মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম। 

এর আগে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বাথুলী এলাকা থেকে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই ডাকাতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন সন্ধ্যায় কালামপুর থেকে আরো এক ডাকাতকে আটক করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, গত ৩১ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে ইসলাম পরিবহনের একটি বাস ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরিবহনটি সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় পৌঁছালে ভোর ৪টার দিকে ৭ জন ডাকাত যাত্রী বেশে পরিবহনে উঠে। ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাস পার হলেই তারা ডাকাতি করার জন্য বাসের স্টাফদের জিম্মি করে। এ সময় আসামি সজিব তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র ড্রাইভারের গলায় ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ড্রাইভারের সিটে বসে। পরে বাসটি চালিয়ে বাথুলীর দিকে নিয়ে যেতে থাকে। পরিবহনটি বাথুলী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় এসে খাদে পড়ে যায় এবং বাসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে অনুমানিক ৮০,০০০ টাকা ও বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় তারা। বাসের হেলপার লোকজন দেখে জানালার ফাঁকা দিয়ে লাফ দেন এবং ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে লোকজন এসে দুই জন ডাকাত আটক করে পুলিশে দেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন সন্ধ্যায় ডাকাত সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির, ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মনির প্রমুখ।