Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

চোখের আলো ফিরে পেতে চায় কুড়িগ্রামের মিজু

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৭

চোখের আলো ফিরে পেতে চায় কুড়িগ্রামের মিজু

মিজু ও তার মা দুলালী বেগম। ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আমার এতিম ছেলেটাকে আপনারা বাঁচান। ছেলেটার বাবা নাই। অল্প বয়সে ছেলেটা অন্ধ হয়ে গেলে সে হয়ত মরি (মারা) যাবে। দয়া করে এতিম ছেলেটিকে বাঁচাতে সাহায্য করুন। এমন আকুতি হতভাগা মিজুর মা দুলালী বেগমের।

মিজুর (২১) বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের যতিনের হাট এলাকায়।

মিজুর ঘরের অবস্থা এত করুণ যে, মিজু যে ঘরে থাকে সে ঘরে শুয়ে আকাশ বেশ ভালোভাবেই দেখা যায়! মিজু বাবা হারিয়েছে অনেক আগে। এরপর হারিয়েছে দু’চোখের এক চোখ।  ধীরে ধীরে নিভে যায় অন্য চোখের সব আলোটুকু। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় বিভিন্ন চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার পর ডাক্তার জানান, মিজুর চিকিৎসা আর বাংলাদেশে নেই। দ্রুত যেতে হবে ভারতে। ডাক্তারের এ কথার পর দ্রুত পাসপোর্ট ও ভিসা করে ফেলে মিজু।

এরপর ‘চোখের আলো ফিরে পেতে চায় মিজু, প্রয়োজন ৬০ হাজার টাকা’ এই শিরোনামে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজ প্রকাশের পরে টাকা পাওয়া গেলে মিজুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ভারতে। গত ২২ অক্টোবর ভারতের দিশা আই হসপিটালে ডাক্তার সৌভিক দান মিজুর অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে তিনি জানান ১৮ নভেম্বর মিজুকে পার্মানেন্ট লেন্স পরাতে হবে। তাহলে হয়ত চোখের আলো ফিরে পাবে মিজু। সেজন্য প্রয়োজন ভারতীয় ৪৮ হাজার রুপি। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার টাকা। যাওয়া-আসা, থাকা মিলে লাগবে আরো ২০ হাজার। চোখের আলো ফিরে পেতে এখন ৯০ হাজার টাকা প্রয়োজন মিজুর।

কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই মিজুর। খরচ জোগাতে না পেরে মুষড়ে পড়েছেন এতিম মিজু ও তার মা দুলালী বেগম। তারা সাহায্য চান সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের কাছে। কারণ চোখরে আলো ফিরে পেতে মিজুকে অবশ্যই ১৭ নভেম্বর ভারতে রওয়ানা করতে হবে। ১৮ নভেম্বর ভারতে মিজুকে পার্মানেন্ট লেন্স পরাতে হবে।

মিজুর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা পাঠানো যাবে মায়ের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর: দুলালী বেগম, ২০৫০৭৭৭০২২৪৫৭৪৮২৮ ব্যাংকের নাম: ইসলামী ব্যাংক লি. (এজেন্ট ব্যাংকিং), কুড়িগ্রাম। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫