-673332d35c196.png)
পঞ্চগড় জেলার মানচিত্র। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনোয়ার হোসেনকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে অপর সদস্য ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (১২ নভেম্বর) দেবীগঞ্জ থানায় ফরহাদ হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনকে আসামি করে এজাহার জমা দেন মনোয়ার হোসেন।
মনোয়ার হোসেন জানান, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে মনোয়ার বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যার জেরে ফরহাদ হোসেন এই পুরো ঘটনায় ইন্ধন যোগান। গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে হাজিপাড়া এলাকার রাব্বিনা আক্তার শ্বশুর বাড়ি থেকে মনোয়ারের ফোনে কল করেন দেখা করার জন্য। রাব্বিনা সম্পর্কে খালাতো বোন হওয়ায় মনোয়ার সরল মনে সেখানে যান। এই সময় রাব্বিনা হঠাৎ করে মনোয়ারের হাত ধরে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে যান। আগে থেকে ফরহাদ হোসেনসহ ওঁৎ পেতে থাকা অন্যান্য অভিযুক্তরা এসে রাব্বিনার ঘরের দরজায় কড়া নাড়লে তিনি দরজা খুলে দেন। এই সময় কিছু বুঝে উঠার আগে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে সবাই মিলে মনোয়ারকে বেধড়ক মারধর করার পর পা বেঁধে বিছানায় শুইয়ে রাখা হয়।
পরে সকালে তাকে ঘর থেকে বের করে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। এই ঘটনা রফাদফা করার প্রস্তাব দিয়ে মনোয়ারের নিকট মোটা অংকের টাকাও দাবি করেন ফরহাদ হোসেন, এমনটাই অভিযোগ মনোয়ার হোসেনের।
এদিকে রাব্বিনার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তার স্বামী রুবেল ইসলাম ঢাকা থেকে বাসায় ফেরার পর রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনোয়ারকে তার বাসায় পাঠানো হয়।
বাড়ি ফেরার পর বর্তমানে মনোয়ার চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে রাব্বিনা বলেন, গত দুই বছর ধরে মনোয়ারের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিনও তিনি আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।
তবে ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি শোনার পর ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাই। আগে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। টাকা দাবি বা মারধরে নেতৃত্ব দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরো ভিত্তিহীন। মনোয়ার যুবলীগ করতেন বলেও দাবি করেন এই ইউপি সদস্য।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।