বেনাপোল কার্গো টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৩

কার্গো টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: বেনাপোল প্রতিনিধি
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে পণ্যজট কমাতে ও বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নির্মিত কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন টার্মিনালটি উদ্বোধন ও বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভারতীয় আমদানিকৃত পণ্য বোঝায় ট্রাকগুলি এ কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে রাখা হবে। সাথে সাথে ভারতে রপ্তানি মুখী বাংলাদেশি পণ্য বোঝায় ট্র্যাকগুলোই এ ইয়ার্ডে অবস্থান করবে। তবে ভারতীয় পণ্য বোঝায় আমদানিকৃত ট্রাকের চেয়ে ভারতে রপ্তানি বোঝায় বাংলাদেশি ট্রাকগুলি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এখানে অবস্থান করতে পারবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বন্দরের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান (অতিরিক্ত সচিব), যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, বিজিবি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, বেনাপোল কাস্টমস এর কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বেনাপোল পৌর প্রশাসক, ড. রাজীব হাসান, শার্শা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নুসরাত জাহান, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।
পরে বন্দর অডিটোরিয়ামে স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে মত বিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল দেশের সর্ববৃত্তম স্থল বন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য নিয়ে দেড়শ থেকে ২০০ গাড়ি প্রতিদিন ভারতে প্রবেশ করে। পণ্য বোঝায় গাড়িগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকাই প্রতিনিয়ত বেনাপোল বন্দরে যানজটের কবলে পড়তো। আজ বৃহস্পতিবার কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি চালু হওয়ার ফলে একসঙ্গে এই টার্মিনালে ১ হাজার ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। এর ফলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমে আসবে, সীমান্ত বাণিজ্য ও রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা করছি।