ঝিনাইদহে ড্রাগনে হঠাৎ মড়ক, আতঙ্কিত চাষিরা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:২৬
-673632e307d7c.jpg)
ভুক্তভুগী একজন ড্রাগন চাষি। ছবি- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
কোনভাবেই মড়ক নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ঝিনাইদহের ড্রাগন চাষিরা । নামীদামি কোম্পানির বালাইনাশক, ছত্রাক নাশক, ব্যাকটেরিয়া নাশক, মাকড় নাশক ব্যবহারে হচ্ছে না প্রতিকার। যে ক্ষেতে মড়ক লাগছে সেই ক্ষেত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অতি দ্রুত। কোন প্রতিকার না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের ড্রাগন চাষিরা।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। প্রায় ৫ হাজার চাষি সরাসরি ড্রাগন চাষে যুক্ত। সেই সাথে আরো প্রায় ২৫ হাজারেও বেশি মানুষ বিভিন্নভাবে জড়িত আছেন ড্রাগন চাষে সাথে।
চাষিদের দেয়া তথ্য মতে, রোগ নিরাময় করতে না পেরে কমপক্ষে ৫০বিঘা জমির ড্রাগন গাছ ইতোমধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের ড্রাগন চাষি শামীম উদ্দীন জানান, প্রায় ৩ মাস আগে তার বাগানে মড়ক লাগে। মাত্র দুই-তিন দিনের ব্যবধানে দুই বিঘা জমির সব গাছ আক্রান্ত হয়ে যায়।একই এলাকার চাষি কুতুব উদ্দিন জানান, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক সব ধরনের ছত্রাক নাশক, কিটনাশক, ব্যাকটেরিয়া নাশক ও মাকড় নাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার পাননি। তাই প্রায় ২বিঘা জমির ড্রাগন কেটে ফেলেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি বলেন, এ রোগ নতুন তবে চাষিদের গাছ না কাটার অনুরোধ করেছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, ড্রাগনের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। বর্তমানে গাছে নতুন নতুন রোগবালাই হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।