মিয়ানমারে যুদ্ধের গুলি এসে পড়ছে টেকনাফের ঘরবাড়িতে

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৪৯

টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকা। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) চলমান যুদ্ধ প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে।
গেল কয়েকদিনে মংডু শহরের আশপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ব্যবহৃত মর্টার শেল, শক্তিশালী বোমা, গ্রেনেড ও গুলির তীব্র শব্দ আবারও শুনছেন টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লোকজন। সেখানে ছোড়া গুলি সরাসরি এসে পড়ছে টেকনাফে। এতে নতুন করে আবারো আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়ার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের বাড়ির আঙিনায় গুলি এসে পরে। এতে কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন হ্নীলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ আলী। তবে সীমান্ত পেরিয়ে গুলি প্রবেশের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
মিয়ানমারের ভেতরের এই সংঘর্ষের রেশ লাগছে বাংলাদেশেও। যুদ্ধের তীব্রতা বাড়লেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো।
গত কয়েক মাস ধরে এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ছেন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার রাতেও থেমে থেমে বিকট শব্দ ভেসে আসে ওপার থেকে, যা টানা শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মনির আহমেদ বলেন, থেমে থেমে ভারি গোলার শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। এ কারণে সীমান্ত এলাকায় অযথা না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সীমান্ত দিয়ে যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি।
সীমান্তে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নেজামী।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগে যেন ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেজন্য সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।