
মাদুর তৈরির মেশিন। ছবি: সংগৃহীত
পরিস্থিতি যেমনই হোক, জীবনে সফল হতে চাইলে মনের সাহস আর আত্মবিশ্বাস থাকাই যে যথেষ্ট, সেটাই করে দেখিয়েছেন নওগাঁ জেলার রিতা বেগম।
তিনি নওগাঁ জেলার রানীনগরের দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসারে অভাব-অনটনে দিন কাটত রিতার। সন্তান জন্মের পর অভাব-অনটন আরো বাড়তে শুরু করে। পারিবারিক আর্থিক দৈন্য দূর করার উপায় খুঁজতে রানীনগর উপজেলার স্থানীয় কাপড় তৈরির কারিগরদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এরপর জানতে পারেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করে মানবিক সাহায্য সংস্থা।
সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণ করে অর্ধেক টাকায় মাদুর তৈরির মেশিন কেনেন রিতা। আর বাকি অর্ধেক দিয়ে কাঁচামাল কিনে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম বছরই মাদুর বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন। পরবর্তী সময়ে সেই লাভের টাকায় এমএসএসের কর্মীদের পরামর্শে গরু কেনেন। বর্তমানে রিতার মাসিক আয় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। লাভের টাকায় নিজস্ব জমিতে টিনের ঘর তোলার পাশাপাশি সন্তানদের স্কুলের খরচও মেটাতে পারছেন।
রিতা বেগম বলেন, ‘আমার আয় আগের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। আমার তৈরি মাদুর স্থানীয় বাজারেই বিক্রি হচ্ছে। কাপড় বাজারজাতকরণসহ সব কাজে আমার স্বামী যথেষ্ট সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করেছেন। আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরো মেশিন কিনে কর্মী নিয়োগ দিয়ে মাদুর তৈরির ব্যবসা সম্প্রসারণ করা।’