শেখ হাসিনার ভাতিজা মঈন আব্দুল্লাহ ৪ দিনের রিমান্ডে

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৩২

সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে বিএনপির শোক র্যালিতে হামলা, দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক মামলায় কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া আরও দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার (শোন এ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক নূরুল আমিন পৃথক দুটি মামলায় তার দুদিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মেঝে ছেলে। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর পরিচালক ছিলেন।
আদালতের সরকারি নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক এনামুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক দু-দিন করে মোট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া অপর দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নগরীর চৌমাথা এলাকায় বিএনপির শোক র্যালিতে হামলা ও ৪ আগস্ট নগরীর সদর রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ দুটি ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ। এ দুই মামলায় রবিবার বিকেলে তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লস্কর নূরুল হক জানিয়েছেন, তারা মঈন আব্দুল্লাহর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে দুদিন করে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তী তারিখে তারা পুনরায় জামিনের আবেদন করবেন।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশান থেকে মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে শেখ হাসিনার পরিবারের সকল সদস্য আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে একমাত্র মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ।