বন বিভাগের বিতর্কিত বিট কর্মকর্তা: তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে না সব অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৫০

বিতর্কিত বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের বদেশ্বরী বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দেশকালে সংবাদ প্রকাশের পর বন বিভাগ নড়েচড়ে বসে। সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগ তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। এর আগে সাম্প্রতিক দেশকালে ২১ নভেম্বর এই কর্মকর্তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।
যেখানে এই বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চোরাই গাছ জব্দের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে না জানানো, করাতকলে গাছ জিম্মায় রাখা, গাছ জিম্মায় রাখার পর উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়া ও রেঞ্জ কার্যালয়ে গাছ নেওয়ার নাম করে বাইরে পাঠানোর মতো গুরুতর অভিযোগের কথা উঠে আসে।
সংবাদটি প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ তদন্তের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার দেবীগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন। তদন্ত কর্মকর্তাকে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে দেবীগঞ্জ রেঞ্জের বদেশ্বরী বিট থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং অনতিবিলম্বে বদলিকৃত স্থানে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে বন বিভাগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয় উঠে আসলেও শুধুমাত্র বদেশ্বরী বিটে গাছ জব্দ করে বিট অফিসে না নিয়ে 'স' মিলে রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি অভিযোগগুলোকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দেবীগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশি কান্ত মালাকার বলেন, কামরুজ্জামানকে সামাজিক বন বিভাগের রাজশাহী অঞ্চলে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।