Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

যাত্রী স্বল্পতায় সেন্টমার্টিন যাচ্ছে না জাহাজ

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫

যাত্রী স্বল্পতায় সেন্টমার্টিন যাচ্ছে না জাহাজ

সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

নানা ধরনের সমস্যা ও বিধিনিষেধের পর সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলে অনুমতি পাওয়া গেলেও যাত্রী স্বল্পতার কারণে দ্বীপে যেতে পারছেনা জাহাজ।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিধিনিষেধের বেড়াজালে এতদিন শুরু করা যায়নি দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। অতঃপর চলাচলের অনুমতি মিললেও এবার সংকট যাত্রীর।

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। সেই যাত্রা শুরু করা যাচ্ছে না যাত্রীর সংখ্যা তেমন না হওয়ায়।

চলতি মৌসুমে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া কয়েকটি জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এই জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসন ও জাহাজ সংশ্লিষ্টরা।

এই রুটে পর্যটক নিয়ে চলাচলের অনুমতি পেয়েছে জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ। এই জাহাজের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩৫০ জন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকেট বুকিং শতজনেও গড়ায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার জাহাজটি না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট দিয়ে বৃহস্পতিবার জাহাজ ছাড়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু যাত্রী সংকটে জাহাজ ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণত অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের প্রথম দিকে শুরু হয় দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। কিন্তু এবার সরকারের নেওয়া উদ্যোগ ও প্রশাসনিক বিধিনিষেধের জটিলতায় এখনো তা শুরু করা সম্ভব হয়নি।

গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভায় সেন্টমার্টিনে নানা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ অক্টোবর মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেবে।

পরিপত্রে আরো বলা হয়, নভেম্বরে দ্বীপে পর্যটক গেলেও দিনে ফিরে আসতে হবে, সেখানে রাত্রিযাপন করা যাবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাত্রিযাপন করা যাবে। প্রতিদিন পর্যটকের সংখ্যা গড়ে ২ হাজারের বেশি হবে না। দ্বীপে শব্দদূষণ করা যাবে না, রাতে আলো জ্বালানো যাবে না, বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না।

মূলত নভেম্বরে দ্বীপে রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞাই পর্যটকদের এমন অনীহার কারণ বলে মন্তব্য করেন নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, যেহেতু ডিসেম্বরে সেখানে রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই ১ ডিসেম্বর থেকে হয়তো পর্যটকের সংকট থাকবে না।

সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা ও পর্যটক সীমিত করায় কক্সবাজারের পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বিশ্বাস তুষার।

তিনি বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা নানা ক্ষতির মুখে পড়বেন। এরই মধ্যে অনেকে বিনিয়োগ করায় আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫