Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

দার্জিলিং কমলা এখন সিংড়ায়

Icon

সিংড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭

দার্জিলিং কমলা এখন সিংড়ায়

কৃষি উদ্যোক্তা মাসুদ করিম মিঠুর কমলা বাগান। ছবি: সিংড়া প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ার সফল কৃষি উদ্যোক্তা মাসুদ করিম মিঠু দার্জিলিং কমলা চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। এ বছর ৫/৬ লাখ টাকার লাভ দেখবেন বলে আশাবাদী মিঠু। তার বাগানে সাদকি, ম্যান্ডারিন ও নাকপুরি জাতের ১৬০টি কমলাগাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে কমলা ধরেছে।

মিঠু পাটকোল গ্রামের মো. আ. লতিফের ছেলে। সমতল ভূমিতে কমলা হবে কিনা এমন দুশ্চিন্তা ও আর চ্যালেঞ্জ নিয়েই কমলাগাছ রোপণ করেছিলেন এই উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা মাসুদ করিম মিঠুর ধান-চালের ব্যবসা ছিল। করোনায় ব্যবসা মন্দা হলে ২০২০ সালে ইউটিউবে ভিডিও দেখে মিলের সমতল ভূমিতে চারা রোপণ শুরু করেন। সেই চাতালে গড়ে উঠেছে মিঠুর কমলা বাগান। যার নাম রাজ্যভেলি।

সিংড়া পৌর শহরের পাটকোল এলাকায় প্রায় ১ বিঘা জমিজুড়ে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের ১৬০টি কমলাগাছ। সেই গাছগুলোতে ফল আসা শুরু হয়েছে। দর্শনার্থীরা দেখতে আসছেন। কেউ কেউ পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যভেলি সম্মিলিত বাগানে রয়েছে পেয়ারা, বড়ই, পেঁপে, আম, আঙুর, বেগুন, মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, চাল কুমড়াসহ বিভিন্ন ফল ও সবজি গাছও।

কৃষি উদ্যোক্তা মাসুদ করিম মিঠু বলেন, ছোটবেলা থেকে কৃষির প্রতি ভালোবাসা থেকেই এ বাগানের শুরু। করোনায় ধান-চালের ব্যবসা মন্দা গেলে ইউটিউবে কমলা চাষের বিভিন্ন ভিডিও দেখে ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি পায়। সমতল ভূমিতে কমলা চাষ খুবই অসম্ভব ও চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেটাই গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কমলার গাছ সংগ্রহ করি।

মিঠু বলেন, বাগান করতে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গাছগুলোতে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। যখন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন কমলা বাগান দেখতে আসে তখন নিজেকে সফল মনে হয়। মিঠুর মিশ্র বাগানে সব সময় সহযোগিতা করেন তার সহধর্মিণী পিনাকী প্রামাণিক।

মিঠুর সহধর্মিণী পিনাকি প্রামানিক বলেন, আমরা প্রথমে অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুরু করেছিলাম। তবে এখন ভালো লাগে। এ বাগানেই কাটে আমাদের অধিকাংশ সময়। কমলা চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষিক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হবে। দার্জিলিং কমলার স্বাদ মানুষ এ দেশ থেকেই পাবে। কমলা চাষে খরচ অত্যন্ত কম। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. খন্দকার ফরিদ জানান, পাহাড়ি ফল কমলা সিংড়া উপজেলায় চাষাবাদ শুরু হয়েছে। মিঠু এই ফল চাষ করে সফলতার অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি। সমতলের চাষিদের অন্যতম লাভজনক একটি ফল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫