শ্রমিককে মারধর ববি শিক্ষার্থীদের, বাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৪

বাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বাস শ্রমিককে ধরে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-ঝালকাঠি মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার পরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বরে এই ঘটনা ঘটে। পরে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবসহ অন্যান্য বাস মালিকদের হস্তক্ষেপে মুক্ত হন হৃদয় নামের বাস শ্রমিক।
শিক্ষার্থীদের মারধরের শিকার শ্রমিক হৃদয় রূপাতলী বাস মালিক সমিতির এম.কে পরিবহনের (বরিশাল-ব-১১-০১১৮) চালকের সহযোগী (হেলপার)। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সদস্য জিয়াউদ্দিন সিকদার জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা ওই শ্রমিককে ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। পরবর্তীতে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এম.কে পরিবহনের চালক রনি জানিয়েছেন, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে বের হয়ে গোলচত্বরে গাড়ি দাঁড় করায় যাত্রী তুলছিলেন। তখন শুনতে পাই তার বাসের হেলপার হৃদয়সহ আরও কয়েকটি বাসের স্টাফদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে হৃদয়কে মারধর করে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের কাঁঠালতলা নামক স্থানে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানেও তাকে মারধর করে ছাত্ররা। তবে সময় পেরিয়ে যাওয়ায় হৃদয়কে রেখেই সুপারভাইজারকে নিয়ে আমরা বাকেরগঞ্জে চলে আসি। পরে কী হয়েছে জানি না।
ঘটনার অপর প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় পান-সিগারেট বিক্রেতা কালাম জানিয়েছেন, রাস্তার পাশে থামিয়ে যাত্রী তুলছিল এম.কে পরিবহন। এসময় হেলপার হৃদয় যাত্রীদের গায়ে হাত দিয়ে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছিলেন বাসে। সেখানে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। গায়ে হাত দিয়ে ডাকাডাকি করায় হেলপারকে তার মারধর এবং পরে রূপাতলী থেকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে, হেলপারকে মারধর করেধরে নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। তারা রাস্তার ওপরে আড়াআড়ি করে বাস দাঁড় করিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী-ঝালকাঠি-কুয়াকাটা-বরগুনা রুটে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্য ও বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে আটকে রাখা শ্রমিককে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।