পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৭

ডা. ফরিদা ইয়াছমিন। ছবি: পিরোজপুর প্রতিনিধি
অভিযোগের শেষ নেই পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের আগে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা গ্রহণ, মেডিকেলের সরকারি কোয়ার্টারে কয়েক বছর ধরে বসবাস করেও ভাড়া কর্তন না করা, অফিসের বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ, অফিসের স্টাফদের সঙ্গে বাজে আচরণসহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি এইসব ঘটনার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জানা যায়, গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে শরণখোলা উপজেলা থেকে বদলি হয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন ডা. ফরিদা ইয়াছমিন। সেই থেকে বসবাস করেন সরকারি কোয়ার্টারে। সরকারি কোষাগারে ভাড়া বাবদ মুল বেতনের ৩৫% শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেখানেই দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। একটি টাকাও জমা দেননি।
পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের স্টাফ মো. নাছির ফকির বলেন, ম্যাডাম (ডা. ফরিদা ইয়াছমিন) যোগদানের পর থেকেই আমাদের স্টাফদের নানা রকম ভাবে হেনস্তা করতো,বাজে ব্যবহার করা হতো। এমনকি তার দেওয়া অফিসের বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার গ্রহণ করতে আমাদের ওপর চাপ দিতো। তার এই সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে শাস্তিমূলক নোটিশ দেওয়া হতো।
এই অফিসের অফিস সহকারী (এমএলএস) শ্যামল চন্দ্র বিশাস বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম করলেও আমরা কিছু বলতে পারতাম না। উল্টো আমাদের নামে দেওয়া হতো শাস্তিমূলক নোটিশ।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের পেছনে চিকিৎসক ও স্টাফদের জন্য নির্মিত সরকারি কোয়ার্টারের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াছমিন কোয়াটারের ১ নং ভবনের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে ইউনিটে বসবাস করেন আর তার উল্টো (পূর্ব) পাশে থাকেন জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. নিজ্জামউদ্দীন।
তবে সরকারি কোয়ার্টারে থাকা নিয়ে ডা. ফরিদা ইয়াছমিনের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি কোনো সরকারি কোয়ার্টারে থাকি না, ভাড়া কেন দেব?
তার দাবি তিনি প্রতিদিন অফিসের কাজ শেষে খুলনা (তার বাড়িতে) চলে যান, পরের দিন সকালে আবার বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরে আসেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ডা. ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।