চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে মিলল মরদেহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৩
-6756e5e3f20b1.jpg)
নিহত মো. রবিন হোসেন। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের সাথে তার মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। এ বিষয়ে জুয়েলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলোমেলো কথা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এরপর দুজনকে আটক করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিলেন।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পান।