চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশি হবে।

আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

গত ২৬ দিন থেকে এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রত্যেকদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ছে।

হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দিন মজুরদের সমস্যা বেশি দেখা হচ্ছে। তারা কাজের সন্ধানে বেরুলেও কাজ পাচ্ছে না। মজুররা কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। অর্থাভাবে পরিবারের খাবার জোগাড় করতে পারছে না তারা।

দিননাথপুর গ্রামের শের আলী প্রত্যেকদিন সকালে শহরের চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি কাজও পেয়ে যান। কিন্তু শীতের কারণে এখন কাজ পাচ্ছেন না।

ঠিক একই অবস্থা হয়েছে রিকশা ও ভ্যান চালকদের। শহরের রিকশা চালক আহাম্মদ জানান, সকালে রিকশাভাড়া বেশি হয়। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় তাদের ভাড়া কম হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট এলাকার চায়ের দোকানী ফরজ আলী বলেন, প্রতিদিন খুব ভোরে তিনি দোকানে চা বিক্রি শুরু করেন। প্রতিদিন বেশ ভালই চলে চা বিক্রি। বর্তমানে শীতের কারণে চায়ের দোকানে খদ্দের আসছে না। এতে তিনি বেশ বিপাকে পড়েছেন। আয় রোজগার কম হওয়ায় সংসার চালানোই তার মুশকিল হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।