মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪ মাস্টারকে শোকজ

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪১

কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ। ছবি- বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তনখোলা-১০ এবং ঢাকা থেকে বরিশালগামী প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের মধ্যে মাঝ নদীতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই লঞ্চই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হলেও প্রাণহানী হয়নি। এ ঘটনায় দুই লঞ্চের চার মাস্টারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
এর আগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে কীর্তনখোলা-১০ এবং ঢাকা থেকে প্রিন্স আওলাদ-১০ পৃথকভাবে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মধ্য রাতে দুটি লঞ্চ চাঁদপুরে ঘন কুয়াশার কবলে পরে। এ সময় চাঁদপুরের হরিণা নামক স্থানে লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
পরে বরিশালগামী প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের যাত্রীদের শুভরাজ-৯ লঞ্চে বরিশালে পৌঁছে দেয়া হয়। রবিবার দুপুর ১টার দিকে শুভরাজ-৯ লঞ্চটি ৫৮৫ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছায়। এসময় যাত্রীরা স্বস্তির নিশ্বাস নেন।
এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী জহিরুল ইসলাম জানান, আনুমানিক রাত সোয়া ২টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ দুটির মধ্যে বিকট শব্দে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, ঘটনার পর কেবিন থেকে বের হয়ে দেখতে পাই সংঘর্ষে লঞ্চ দুটির সামনের অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে নৌযান পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি ঘটনার সময় রাডার সিস্টেম সচল ছিল কিনা বা ফগ লাইট ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। এই ঘটনায় লঞ্চ স্টাফদের কোনো গাফিলতি থেকে থাকলে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি যাত্রীদের।
তবে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘন কুয়াশার সময় রাডার সিস্টেম সচল রাখা, ফগ লাইট ব্যবহার করাসহ নানা ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর পরেও কেন এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তার কারণ দর্শানোর জন্য দুই লঞ্চের মাস্টারকে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান বরিশাল বন্দরের এই কর্মকর্তা।