চাঁদপুরে মেঘনার হরিনা ফেরিঘাটে এমভি আল-বাখেরা (১৩৯৪৬)  নামে একটি কার্গো জাহাজ থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই জাহাজ থেকে আরো ৩ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জন মারা গেছেন। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

নৌ-পুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য এবং নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির নাম জুয়েল বলে জানা গেছে। 

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, গতকাল ২২ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটি থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে এমভি আল-বাখেরা নামে কার্গো জাহাজটি পাবনার নগরবাড়ি যাচ্ছিল। তবে জাহাজটি যথাসময়ে ঢাকায় পৌঁছায়নি। ধারণা করা হচ্ছে যাত্রাপথে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিম তীরে আলুর বাজার মাঝের চর এলাকায় জাহাজটি ডাকাতদের কবলে পড়ে।

এদিকে মালিক পক্ষ খোঁজ নিয়ে জাহাজের বর্তমান অবস্থান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ভাবে জরুরি পরিসেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন।

খবর পেয়ে পরে কোস্ট গার্ডের চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমতিয়াজ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরো ৩ জনকে।‌ তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জন মারা যান।

নৌ পুলিশ জানায়, জাহাজটি চাঁদপুর সদর থানাধীন মেঘনা নদীতে নোঙর রত ছিল। সেটিতে সার পরিবহন করা হচ্ছিল। নিহতরা নৌযানটির চালক ও অন্যান্য কর্মী হতে পারেন।

নৌ-পুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তারা বিকাল ৩টার দিকে নৌযানটির কাছে যান। সেখানে গিয়ে নৌযানের পাঁচটি কক্ষে ৫ জনের মরদেহ দেখতে পান। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।