Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

রাতের আঁধারে ২ ট্রাক সরকারি নথি পোড়ানোর চেষ্টা

Icon

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১০

রাতের আঁধারে ২ ট্রাক সরকারি নথি পোড়ানোর চেষ্টা

ট্রাকসহ জব্দ নথিপত্র এবং আটককৃতদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ছুটির দিনে রাতের আঁধারে দুই ট্রাক সরকারি নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে পুড়িয়ে ফেলার আগেই কাগজপত্রসহ দপ্তরটির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে স্থানীয় জনতা।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে। পরে ট্রাকসহ জব্দ নথিপত্র এবং আটককৃতদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে মুচলেকা রেখে জব্দকৃত কাগজপত্র ও আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে গোটা বরিশালজুড়েই তোলপাড় চলছে। যদিও শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈধভাবেই অপ্রয়োজনীয় নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম সাবু ও বর্তমান ইউপি সদস্য পারুক বেগম জানান, ‘বরিশাল থেকে দুটি ট্রাক কাগাশুরা বাজার হয়ে অজ্ঞাত স্থানে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে একটি ট্রাক থেকে সরকারি দপ্তরের কিছু নথিপত্র রাস্তায় পড়ে যায়। পথচারীরা এগুলো সরকারি কাগজপত্র বুঝতে পেরে ট্রাকসহ সাথে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটক করে। তারা ধারণা করেন নথিপত্রগুলো সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারে।

এদিকে, খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নথিপত্র বোঝাই দুটি ট্রাক এবং আটককৃতদের তাদের হেফাজতে নেন। পাশাপাশি নথিপত্রের প্রকৃত মালিক শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তাদের খবর দেন তারা। তারা এসে বিষয়টি পরিস্কার করেন। পরে মুচলেকা দিয়ে ট্রাক ও কাগজগুলো শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরে ফেরত নিয়ে যান তারা।

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় এক যুগের পুরনো দাপ্তরীক নথিপত্র যার কার্যকারীতা শেষ হয়ে গেছে। এজন্য অপ্রয়োজনীয় নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ভাড়া করা দুটি ট্রাকে এসব কাগজপত্র ও আসবাব পুড়িয়ে ফেলার জন্য নগরীর পুড়ানপাড়া সিটি করপোরেশনের ময়লাখোলায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তর থেকে এগুলো পোড়ানোর উদ্দেশে নিয়ে যান অফিসের দুই কর্মকর্তা এবং একজন কর্মচারী। তাদের সাথে কয়েকজন শ্রমিকও ছিল।

শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, সরকারি নথিপত্রগুলো পোড়ানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। তাছাড়া যেই দুই কর্মকর্তাকে দিয়ে এগুলো পোড়ানোর জন্য পাঠানো হয়েছে তারা ময়লাখোলা চেনেন না। অফিস কর্মচারী এবং ট্রাক চালকের সিদ্ধান্তে এগুলো কাগাশুরা বাজারের পেছনে নিয়ে যায়। ধারনা করা হচ্ছে কাগজগুলো না পুড়িয়ে তা বিক্রি করে লাভবান হতেই তারা এমনটা করতে পারে।

মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে কেনো অন্য স্থানে কাগজপত্র নেয়ার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ঘটনাস্থলে থাকা কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আনিচুর রহমান বলেন, কাগজপত্রগুলো পোড়ানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের দাবি পথভুলে কাগাশুরা এসেছি। কাগজপত্র পোড়ানোর যথাযথ অনুমোদন থাকায় এগুলো শিক্ষা প্রকৌশল দপ্তরের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়ে ট্রাক এবং কাগজপত্র নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫