জেএমবির রহমতউল্লাহসহ ৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল ভারত

বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৮
-67715a27f09b2.jpg)
ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন সাত বাংলাদেশি। ছবি- বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারতে চার বছর কারাভোগের পর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবির রহমতউল্লাহসহ সাত বাংলাদেশিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
এর আগে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ৭ জনকে হস্তান্তর করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
তিনি বলেন, ফেরত আসা রহমতউল্লাহর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্দা তিনি।
হস্তান্তরের পর রহমতউল্লাহসহ ওই সাত জনকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
রহমতউল্লাহ ও তাদের সদস্যরা ২০১২ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জেএমবির তিন সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।
জেএমবি সদস্য রহমতউল্লাহর সঙ্গে ভারতের কারাগারে থাকা আরও ৬ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
ভালো কাজের প্রলোভনে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে কোলকাতা পুলিশের হাতে আটক হন তারা। চার বছর কারাভোগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে আনা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার দারুসসালাম থানা ও ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলার আসামিদের একজন রহমতউল্লাহ। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ও পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনার পর তিনি পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেন।
পরে সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে কোলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তাকে কারাগারে পাঠান ভারতের আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকার রহমতউল্লাহর ভারতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে দুই দেশের সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তাকে ফেরত আনা হয়।
ফেরত আসা ছয় জনের মধ্যে একজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। তাদের পাঁচজনের বাড়ি পটুয়াখালী ও নারীর বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১২ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে প্রিজন ভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে তিন জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেন রহমতউল্লাহ ও তাদের সহযোগীরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশের এক সদস্য নিহত ও একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, ভালো কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন ছয় জন। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে তাদের একটি এনজিওর কর্মকর্তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।