শরীয়তপুরে এক বিচারককে হুমকি দেয়ার অভিযোগে সোলায়মান খান নামে এক ‘যুবদল নেতা’কে আটক করে কোর্ট পুলিশ। পরে ক্ষমা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ওই নেতা। গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় লিগ্যাল এইড কার্যালয়। সিনিয়র সহকারী বিচারক খালেদ মিয়া লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রবিবার দুপুরে লিগ্যাল এইড আদালতে দেনমোহর মামলার আপস-মীমাংসার শুনানি চলছিল। ওই সময় সেখানে ছিলেন সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেয়া সোলায়মান খান। তিনি একটি পক্ষ নিয়ে বিচারকের আদেশ ঘোষণার সময় উত্তেজনাপূর্ণ মন্তব্য করেন ও সহকারী বিচারক খালেদ মিয়াকে হুমকি দেন। পরে কোর্ট পুলিশ সোলায়মানকে আটক করে হাজতখানায় রাখে। বিকালে সহকারী বিচারক খালেদ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলার আবেদন করেন। বিকালে ওই মামলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রুপমের আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা চালান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই যুবদল নেতাকে সহকারী বিচারক খালেদ মিয়ার কক্ষে আনা হলে তিনি ক্ষমা চান। এমন আচরণ আর কখনো করবেন না বলে মুচলেকা দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সোলায়মান খান বলেন, আমার এক প্রতিবেশী ছেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝামেলা ছিল। সেই ব্যাপারে তার সঙ্গে আদালতে গিয়েছিলাম। সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, সোলায়মান খান যুবদলের কেউ না। শুনেছি, বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।

শরীয়তপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শিমুল সরকার বলেন, একজন সহকারী বিচারকের মৌখিক নির্দেশে দুপুরে একজনকে আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় বিচারকের নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে বিএনপিপন্থী এক আইনজীবীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।