কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কিশোরীকে (১৩) সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্যারাবনে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া। 

তিনি বলেন, ‘চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কিশোরীকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। কিছু আলামত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

ওসি মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একজনকে ছবি দেখে শনাক্ত করা হয়। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। 

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বাঁশখালী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মহেশখালী বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে গাড়ি নষ্ট হয়েছে বলে বদরখালী সেতুর ওপর অটোরিকশা চালক তাকে নামিয়ে দেন। এরপর কিশোরী পায়ে হেঁটে সেতু পার হচ্ছিল।

এসময় দুইজন যুবক তার গতিরোধ করে। পরে আরেকজন যুবক এসে ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে তার মুখ চেপে ধরে বেড়িবাঁধের প্যারাবনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে চার থেকে আটজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর কিশোরী পাশের সড়কে উঠে চিৎকার দিয়ে লোক জড়ো করে।

স্থানীয় লোকজন তাকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। 

স্থানীয়রা জানান, কিছু বখাটে যুবক প্রতিদিন রাত হলে ওই জায়গায় ওঁৎ পেতে তাকে। সুযোগ পেলে তারা যেকোনো অঘটন ঘটায়। পুলিশি অভিযান জোরদার করলে তাদের আটক করা যাবে। 

এদিকে, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে নিন্দার ঝড় উঠে। বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বদরখালী-মহেশখালী ব্রীজে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাজারো যাত্রী। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে যানচলাচল শুরু হয়।