Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সিনিয়র সচিবের আদেশের পরও অবৈধ মার্কেট ভাঙছেন না ইউএনও

Icon

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৩

সিনিয়র সচিবের আদেশের পরও অবৈধ মার্কেট ভাঙছেন না ইউএনও

রাজশাহীর পুঠিয়ায় নবনির্মিত মডেল মসজিদের সামনে থাকা অবৈধ মার্কেট। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে উপজেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছে। বর্তমানে মার্কেটের কারণে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৭ নভেম্বর পুঠিয়া রাজবাড়ী মাঠ প্রাঙ্গণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান উপজেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এক মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে জনসম্মুখে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে নবনির্মিত মডেল মসজিদের সামনে থাকা অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করতে আদেশ দেন। 

একই সাথে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অগ্রগতি তার দপ্তরে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে মসজিদ নির্মাণ করার পরও এখন পর্যন্ত মার্কেটের এই অবৈধ ঘরগুলি ভাঙা হয়নি।

মসজিদের সামনে ফুটপাত দখল করে অনেকে আবার রমরমা ব্যবসা করছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে যানবহন চলাচল করতে গেলে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং মহাসড়কে প্রায় সময়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। 

অন্যদিকে, মসজিদের সামনে সড়ক পাড়া-পাড়ের সময় সড়কে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি।

সানোয়ার হোসেন সানু বলেন, আমার উপজেলা পরিষদের মার্কেটে একটি ঘর বরাদ্দ ছিল। মসজিদের সামনে মুসল্লিদের যাতায়াতে অসুবিধার স্বার্থে উপজেলা পরিষদ তখন আমারসহ দুইজনের ঘর ভেঙে দেয়। কিন্তু অন্য ঘরগুলি এখনো পর্যন্ত ভাঙা হয়নি।

উপজেলা সদরের রিপন আহম্মেদ বলেন, জনপ্রশাসন সচিব মহোদয়ের আদেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্কেটের ঘর বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে মোটা অংকের অনৈতিক সমঝোতা হওয়ায় মাকের্টের ঘরগুলি সে ভাঙছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের এক ব্যক্তি বলেন, টাকার বিনিময়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মহোদয়কে নয়ছয় বুঝিয়ে উপজেলার প্রশাসন এই ঘরগুলি আর ভাঙবে না।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমি ঘর মালিকদের একমাস সময় দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেছি। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের সিক্সলেন কাজ শুরু হলে, আমাদের উপজেলা পরিষদের জায়গায় সীমানা প্রাচীর দেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় থাকা উপজেলা পরিষদের মার্কেট তখন ভাঙা পড়বে। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ঘরসংক্রান্ত বিষয়ে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছি। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫