উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত মানদা কান্ত লাহিড়ীর ভাতিজা তুষার লাহিড়ী। 

এ সময় তুষার লাহিড়ী বলেন, গত বছরের ১৬ জানুয়ারিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গুদিবাড়ি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার চাচা মানদা লাহিড়ীকে নিজ বাড়িতে প্রতিবেশী মশিউর রহমান, আবির রহমান ও নিবিড় রহমান দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। দীর্ঘ ১১ মাস চিকিৎসার পর আমার চাচা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তুষার লাহিড়ী আরও বলেন, আসামি পক্ষ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। তারা বলেছেন- ‘টাকা পয়সা দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘুরিয়ে দেবে।’ আমরা এখন ময়নাতদন্তের সুষ্ঠু প্রতিবেদন নিয়ে শঙ্কিত। আমার চাচার হত্যাকাণ্ডে ময়নাতদন্তের সুষ্ঠু প্রতিবেদনের জন্য সবার সহযোগিতার কামনা করছি। 

প্রসঙ্গত, ১১ মাস আগে বাড়ির ওপরে আড্ডা দিতে ও অসংলগ্ন কথা বলতে নিষেধ করা এবং বড় চুল কাটতে বলেন মানুদা কান্ত লাহিড়ী (৬২) নামে এক বৃদ্ধ। এ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ ওঠে মশিউর রহমান ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। তারপর থেকে দীর্ঘ ১১ মাস হলো অজ্ঞান অবস্থাতেই ছিলেন বৃদ্ধ মানদা কান্ত। অবশেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ মারধরের ঘটনায় মানদা কান্ত লাহিড়ীর স্ত্রী সান্ত্বনা লাহিড়ী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।