Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

লালপুরে ভেজাল গুড়ে বাজার সয়লাব

Icon

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১১

লালপুরে ভেজাল গুড়ে বাজার সয়লাব

নাটোরের লালপুরে ভেজাল গুড় তৈরির একটি কারখানা। ছবি: লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে ভেজাল গুড় তৈরি। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লালপুর, বালিতিতা ইসলামপুর, রায়পুর, হাগরাগাড়ি, ওয়ালিয়া, কেশবপুর, মোহরকয়া ও ঈশ্বরপাড়াসহ আরো কিছু গ্রামে বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে এই ভেজাল গুড়। এসব কারখানায় চিটাগুড়, চিনি, কাপড়ের ব্যবহৃত রঙ, ময়দা, হাইড্রোজ, পাথরের চুন এবং ফিটকিরি মিশিয়ে খেজুরের পাটালি গুড় প্রস্তুত করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এই ভেজাল গুড় তৈরির পেছনে মূলত কিছু অসাধু আড়তদার দায়ী। তারা বেশি মুনাফার জন্য ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা স্থাপন করেছে। খেজুরের গুড় সাধারণত মৌসুমি হলেও এখানে সারাবছরই খেজুর ও আখের গুড় তৈরি হয়। 

গুড় ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ বলেন, আমি খাঁটি গুড় উৎপাদন করছি এবং তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। কিন্তু ভেজাল গুড় কম দামে পাওয়া যায় বলে আমাদের জন্য বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম শাহাব উদ্দীন জানান, গুড়ে কোনো কিছু মেশানো উচিত নয়। কেমিক্যাল মিশ্রিত গুড় খেলে আলসার, ডায়রিয়া এবং কলেরাসহ পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি কিডনি, হার্ট, ব্রেন এবং লিভার ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের কারণ হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, আমরা দোকান বা আড়তে অভিযান চালানোর সময় ভেজাল গুড় শনাক্ত করা কঠিন। এ জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টেস্টিং ল্যাব প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। বাড়ি ও কারখানাগুলোতে নিয়মিত অভিযানও অব্যাহত থাকবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫