
ঝালকাঠিতে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত নাদিরা আফরিন ঝালকাঠি জেলা পুলিশের সদস্য এবং পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী তরিকুল ইসলাম একই স্থানে পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম জানান, নাদিরা বিষপানের পরে তাকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় তার।
মৃত পুলিশ কনস্টেবলের শাশুড়ি জেসমিন বেগম জানান, তার ছেলে তরিকুলের ব্যাচমেট ছিল নাদিরা। তিন মাস আগে ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের আগে থেকেই আরেক ব্যাচম্যাট কনস্টেবল ফরহাদের সাথে নাদিরার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাই তাদের এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি কনস্টেবল ফরহাদ।ফরহাদ তাদের সম্পর্কের প্রমাণসহ নাদিরাকে ব্ল্যাকমেইল করছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে তরিকুল ও নাদিরার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে আমার উপস্থিতিতে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন পুলিশ লাইন্সের আরআই তাদের ব্যারাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে জানতে পারেন, নাদিয়া বিষ পান করেছে এবং তার ছেলে তরিকুলও আত্যহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনার পরে তরিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে মৃতের স্বামী তরিকুলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহামুদ হাসান বলেন, স্বামীর সাথে ওই নারী কনস্টেবলের গত দুই দিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। সেই জেরেই নাদিরা বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর থানার অদূরে একটি ভাড়া বাসায় বিষপান করেন। তরিকুল তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝালকাঠি জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাদিরার।