Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

নিহত মুসলমান চেয়ারম্যান নিয়ে ভারতে মিথ্যাচার, এলাকায় ক্ষোভ

Icon

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৮

নিহত মুসলমান চেয়ারম্যান নিয়ে ভারতে মিথ্যাচার, এলাকায় ক্ষোভ

নিহত ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হিরণ। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় এক মুসলমান ইউপি চেয়ারম্যানের হত্যা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।

নিহত ওই চেয়ারম্যানের নাম শহীদুল ইসলাম হিরণ। তিনি সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।  

নিহত হিরনের ভাতিজা সাইফুল আলম মিলন জানান, তার চাচা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেছেন । গত ৫ আগস্ট তাকে দুর্বৃত্তরা ঝিনাইদহ শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসায় তাকে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে । লাশটি শহরের পায়রা চত্বরের পায়রার সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে তার লাশ কে বা কারা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখান থেকে ঘটনার এক দিন পর পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি নিজ গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয় ।

সদর উপজেলার ৯ নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়নের সচিব সোহাগ আলী জানান, পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন শহীদুল ইসলাম হিরন। তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান ছিলেন ।

পোড়াহাটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মোল্লা জানান, তিনি ফুরফুরা শরিফের মুরিদ ছিলেন। শহীদুল ইসলাম হিরণ ১৯৮৮ থেকে ২০০৩ ও ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২ টার্মে মোট ৩০ বছর পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন । মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৫ বছর ।

তিনি আরো জানান, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের দিন (৫ আগস্ট) শহীদুল ইসলাম হিরন শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার বাসায় ছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ছাদের উপর থেকে তিনি একের পর এক গুলি ছুড়ছেন ।

তিনি আরো বলেন, তার এ মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়- তিনি একজন হিন্দু ছিলেন। মুসলমানরা তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে- যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, গুজব ও বানোয়াট।

পোড়াহাটি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মলিন কুমার কুণ্ডু জানান, তার নাম আলহাজ শহীদুল ইসলাম হিরণ । কোনো হিন্দু কখনোই ‘আলহাজ’ হয় না । তাকে নিয়ে এমন মিথ্যাচার সম্পূর্ণ অমূলক ও অযৌক্তিক ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই দিনের ঘটনায় ঝিনাইদহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন তার ভাতিজা । সেখানে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে । তবে আসামি সবাই অজ্ঞাত । ঘটনার ৫ মাস ১০ দিন পর গত ১৬ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫