নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।  

নিহত আব্দুর রহমান হৃদয় (২৪) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার সওদাগর বাড়ির মো.সেলিমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি ছিলেন।    

গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছোট ভাই রিফাত বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু আশিকের থেকে কিছু দিন আগে ৫ হাজার টাকা ধার নেন বাবু। এরপর টাকা ফেরত চাইলে বাবু তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিষয়টি আশিক বাবুর বড় ভাই রনিকে জানান। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে আশিকের বন্ধু হোসেন ও সাগরকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে বিষয়টি জানতে পারেন আমার ভাই হৃদয়। খবর পেয়ে তিনি সমবয়সী কাকা রাসেলকে নিয়ে হোসেন ও সাগরকে উদ্ধার করতে বের হয়ে যান। পথে তারা চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের সামনে পৌঁছলে বাবুর সঙ্গে তাদের দেখা হয়। তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করেন বাবু। একই সময়ে রাসেলকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের প্রথমে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার ভাই হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন।

চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। রাসেল নামে আরেক যুবক অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগেরভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’