স্কুলে চাকরি করছেন এক পরিবারের ১৭ জন, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৪

কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পদে একই পরিবারের ১৭ জন চাকরি করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চার মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।পাশাপাশি তদন্তে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি শফিকুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির রোমেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয় ২০০২ সালে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জমিদাতা কুলোদা মোহন রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তৎকালীন সভাপতি কুলোদা মোহন রায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে অনন্ত কুমারকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ায় পর প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ভাই, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়োগ পাইয়ে দেন।
পরে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষক নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ছেলে বিমল চন্দ্র রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসেন। বিপুল চন্দ্র কমিটির সভাপতি হওয়ার পর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুজনে মিলে দুই পরিবারের লোকজনদের নিয়োগ দেন। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক থেকে শুরু করে আয়া পর্যন্ত মোট ১৮ জন কর্মরত রয়েছেন। তার মধ্যে শুধু ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা সবাই সনাতন ধর্মের। এর মধ্যে ৫ জন প্রধান শিক্ষকের পরিবারের।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৭ জন কর্মরত রয়েছেন- এমন একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। উপজেলার কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার বিদ্যালয়টিকে পরিবারতন্ত্রে রূপান্তরিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।