
নিহত মো. রাব্বি হাওলাদার
গত ১৮ জানুয়ারি রাত ১২ টার পর ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিল মো. রাব্বি হাওলাদার (১৮)। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এর চারদিন পর আজ ২২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় রাব্বির মৃতদেহ।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রহমতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাব্বি ওই এলাকার বাচ্চু হাওলাদারের ছোট ছেলে।
পুলিশ বলছে, নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এটি স্পট হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন।
তিনি জানান, বুধবার সকাল ৭ টায় নিহতের বড় ভাই সাব্বির রাস্তার পাশে রাব্বির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার করে। এ সময় এলাকার লোকজন ভীর জমায়। পরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের ভাই সাব্বির বলেন, ১৯ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে রেজাউল নামের একজনের ফোন পেয়ে রাব্বি ঘর থেকে বের হয়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। এছাড়া মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে এলাকার তিনজন পলাতক রয়েছে। আমরা হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির সিকদার বলেন, সকাল ৮টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এটা স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। আমরা গতকাল রাতে জিডি হওয়ার পর থেকেই অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।