সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২২

সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। ছবি- যশোর প্রতিনিধি
দুর্নীতির মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৩৮ লাখ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের স্পেশাল পিপি সিরাজুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে দুদক যশোর অফিস ২০০৭ সালের ২৭ জুন শাহীন চাকলাদারকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন। শাহীন চাকলাদার তার ভাই আব্দুস সাত্তার চাকলাদারের মাধ্যমে নোটিস প্রাপ্ত হন। এরপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ওই বছর ১১ জুলাই দুদকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তবে দুদক তাদের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে পায়। এই ঘটনায় ২০০৮ সালের ৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করে দুদক। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর আজ বিচার রায় ঘোষণার ধার্য দিনে শাহীন চাকলাদারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরো ৪ মাসের কারাদণ্ড এবং তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সাথে শাহীন চাকলাদার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, শাহীন চাকলাদার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর উপ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা প্রয়োজন।