
তাসফিয়া মাহি। ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ১০ মাসে কুরআনের হাফেজ হয়েছে তাসফিয়া মাহি। অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কুরআন মুখস্থ করায় আনন্দিত হয়েছে তাসফিয়ার পরিবার এবং শিক্ষকরা।
সিরাজগঞ্জের লাহিড়ী মোহনপুর এলাকার চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল মতিন এর মেয়ে তাসফিয়া মাহি। সে উল্লাপাড়া পৌর শহরের উম্মে হানি বালিকা মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্রী হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে ৫ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। শাহজাদপুর মিল্ক ভিটায় কর্মরত আব্দুল মতিন এর তিন মেয়ের মধ্যে তাসফিয়া মাহি সর্ব কনিষ্ঠ। ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ছিলেন তিনি। সে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় উম্মে হানি বালিকা মাদ্রাসায় বিভাগে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়। পরে ৩ মাসে নাজরানা বিভাগে পড়ার পর ১০ মাসেই কুরআনের হাফেজ হয়েছে। বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি আরবি শিক্ষার প্রতি তার আগ্রহের শেষ নেই।
অল্প দিনে কুরআন হিফজ করায় তাসফিয়া মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জানিয়েছে। সেই সাথে ইসলামের প্রসারে ভূমিকা রাখারও কথা জানিয়েছেন। হযরত ফাতিমা (রা.) এর মতো আদর্শ নারী হয়ে ভবিষ্যতে কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে চান তাসফিয়া মাহি।
তাসফিয়ার মা আজমিরা পারভীন জানান তাসফিয়া ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী। প্রথমে তিনি তার মেয়েকে প্লে শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন। পরবর্তীতে পড়ালেখা করে চতুর্থ শ্রেণিতে উঠলে (তাসফিয়ার মা) সিন্ধান্ত নেন বাংলা ইংরেজির পাশাপাশি তাসফিয়া হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করবে। তাই উম্মে হানি বালিকা মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করান। এতেই সে মাত্র ১০ মাসেই কুরআন মুখস্থ করে ফেলে। মেয়ের এই কৃতিত্বের তিনি ও তার পরিবার আনন্দিত বলে জানিয়েছেন মা আজমিরা পারভীন।
সহপাঠী সাইফা খাতুন বলেন, একই সাথে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়েও তাসফিয়া আগেই হাফেজি শেষ করেছেন। তাসফিয়ার সফলতায় গর্বিত তার সহপাঠীরা। তারাও তাসফিয়ার মতো হতে চান।
মুফতি আব্দুল হান্নান বলেন, তাসফিয়া ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় তাসফিয়া। পরে প্রতিদিন ৫, ৮, ১০ পৃষ্ঠা করে সবক দিয়েছে সে। আলহামদুলিল্লাহ সে তার প্রচেষ্টায় মাত্র ১০ মাসেই কুরআন মুখস্থ করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাকে হাফেজ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মাদ্রাসার এই শিক্ষক।
তাসফিয়ার মত মেয়ে প্রতিটি ঘরে জন্মগ্রহণ করুক, কুরআনের আলোতে পৃথিবী আলোকিত করুক এমনই প্রত্যাশা সকলের।