শরীয়তপুর জেলা ম্যাপ। ছবি: শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সংবাদ প্রকাশের জেরে এক স্থানীয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সোহাগ খান সুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস এক রোগীর ব্যবস্থাপত্র ছুড়ে ফেলে দেন। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ নিয়ে স্থানীয় নুরুজ্জামান শেখ ওই চিকিৎসকের পক্ষ নিয়ে সোহাগ খান সুজনসহ বেশ কয়েকজনের সংবাদিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে সোহাগ খান সুজন তার অফিসে যাওয়ার পথে নুরুজ্জামান শেখ ও তার ভাই শামীম শেখসহ ১০/১২ জন মিলে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে স্থানীয় সাংবাদিক বিধান মজুমদার, নয়ন দাস ও সাইফুল ইসলাম আকাশের ওপরও হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর অন্য তিন সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন বলেন, আমি এই হামলার বিচার দাবি করছি।
সাংবাদিক বিধান মজুমদার বলেন, হঠাৎ করে দেখি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নুরুজ্জামান শেখসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী সুজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমরা বাঁচাতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ঘটনা শুনে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।