
লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচি সফল করতে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজসহ ৫ জেলার ১১টি স্থানে একযোগে কর্মসূচি পালনের সকল প্রস্তুতি শেষ। এরই মধ্যে তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার বিকেল ৩টার পর থেকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বাড়তে শুরু করে। ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি প্রতিহত করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত পরিকল্পিতভাবে পানি ছেড়ে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ব্যারেজের ছয়টি জলকপাট খুলে দিয়েছে। এতে জেগে উঠা বালুচরের রসুন, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, বাদামসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে তিস্তা পাড়ের কৃষকরা।
রবিবার সকাল ৮টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ অপারেটর নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বাড়ছে। কি পরিমাণ পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না।
তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা পাড়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, নিলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধাসহ ১১টি পয়েন্ট আয়োজিত কর্মসূচিতে ৫ জেলার লক্ষাধিক মানুষ তিস্তা নদী পাড়ে সমাগম ঘটিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।