মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: মধ্যরাতে শুনানি, চার আসামি রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৪
-67ce79e17c1aa.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের নিরাপত্তা শঙ্কায় রবিবার (৯ মার্চ) দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরে মধ্যরাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুরকে ৭ দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মতিন এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, ৯ মার্চ রাত ১২টার পর রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী অংশ নেননি।
এ সময় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে রিমান্ডে না নেওয়ার দাবি করেন। প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তকে ৭ দিন এবং অন্য তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও গতকাল (রবিবার) দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। কারণ দিনভর আন্দোলনকারীরা আদালতের ফটক ঘিরে রেখে আসামিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করছিলেন। এজন্য রাতে শুনানি করেছেন আদালত।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
এরপর রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালের পিআইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়।
বর্তমানে শিশুটি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, শনিবার (৮ মার্চ) ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে ভুক্তভোগীর বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।