ঈদের খুশি নেই আশাশুনিতে, জলে ডুবল পাঁচ গ্রাম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫০

আশাশুনিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত। ছবি- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
এক মাসের রোজা শেষে দেশের মানুষ ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত থাকলেও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের মনে নেই খুশি।
ঈদের সকালে বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হলেও মুহূর্তের মধ্যে তাদের ঈদ আনন্দ পানিতে ডুবে যায়। প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে বহু মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল।
জোয়ারের কারণে সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলপেটুয়া নদীর সংলগ্ন ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়।
দুপুরের মধ্যে ভাঙন রোধ সম্ভব না হলে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস জানান, ঈদের নামাজের সময় ফোনে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নদীর বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশের খবর পাই। দ্রুত নামাজ শেষ করে এলাকার হাজার হাজার মানুষ বাঁধটি আটকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু জোয়ারের প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধটি আটকানো সম্ভব হয়নি। হু হু করে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
“ইতোমধ্যে বিছট, নায়াখালী, বল্লভপুর, আনুলিয়া ও কাকবাসিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটির ভাঙন ঠেকাতে না পারলে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নেও পানি প্রবেশ করবে।”
ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলেও দুপুর পর্যন্ত তারা ঘটনাস্থলে যানটি বলে জানান চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, “ভাঙনের কথা শোনামাত্রই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বাঁশ, বস্তাসহ যা যা লাগে দ্রুত ব্যবস্থা করে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘বিষয়টি শোনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’