কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্রসৈকত এলাকায় সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে ১১১টি কচ্ছপছানা।

মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফের হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া এই কচ্ছপছানাগুলো সাগরে ছাড়া হয়।

২৯ মার্চ একই এলাকায় ৩০০টি কচ্ছপছানা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছিল।

নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)-এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আবদুল কাইয়ুম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া এলাকার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন স্থান থেকে এবছর ৮ হাজার ৫০০টি কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ করা হয়। এসব ডিম থেকে জন্ম নেওয়া আড়াই হাজার কচ্ছপছানা বিভিন্ন সময়ে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া টেকনাফসহ জেলার ১২টি পয়েন্ট থেকে এ বছর ২৫ হাজার ৭০০টি কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিমের প্রায় ৮৫ শতাংশ থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। নেকমের দুজন কর্মী আলীর জোহার ও মো. ফয়সাল সমুদ্রসৈকতে ছেড়ে দিলে এক এক করে ছানাগুলো সাগরে নেমে যায়।

কচ্ছপ সাগরের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার রাখে এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য বজায় রাখে। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় গত ২০ বছর ধরে নেকম কচ্ছপ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে।

সম্প্রতি নেকমের এক জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পারতে আসছে মাত্র ৩৪টি স্পটে, যা এক দশক আগে ছিল ৫২টি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, কচ্ছপের ডিমপারার স্থানগুলো এখন হুমকির মুখে পড়েছে।